Select Page

সলাতে বিনয়ী হওয়ার ৩৩ উপায়

৳ 30.00

Description

সলাতে বিনয়ী হওয়ার ৩৩ উপায়

সলাতে বিনয়ী হওয়ার ৩৩ উপায়

সহিহ ইবনে মাজাহ ৩৯৫৬
আবদুর রহমান বিন আবদে রব্বিল কাবাহ হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনল আস [রাজি.]-এর নিকট পৌঁছে দেখলাম, তিনি কাবা ঘরের ছায়ায় উপবিষ্ট এবং তাহার চারপাশে জনতাহার ভীড়। আমি তাহাকে বলিতে শুনলাম, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর সাথে সফরে ছিলাম। তিনি এক স্থানে যাত্রাবিরতি করিলেন। আমাদের কেউ তাঁবু টানাচ্ছিলাম, কেউ তীর-ধনুক ঠিক করছিলো এবং কেউ পশুপাল চরাতে গেলো। এই অবস্থায় তাহাঁর মুয়াজ্জিন সলাতের জন্য সমবেত হইতে ডাক দিলেন। আমরা সমবেত হলে রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে বলেনঃ আমার পূর্বে যে নবীই অতিক্রান্ত হইয়াছেন, তিনিই তাহাঁর উম্মাতের জন্য কল্যাণকর বিষয় বলে দিয়েছেন এবং তাহাদের জন্য ক্ষতিকর বিষয়ে লিপ্ত হইতে তাহাদের নিষেধ করিয়াছেন। আর তোমাদের এই উম্মাতের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে নিরাপত্তা এবং শেষ পর্যায়ে বালা-মুসীবত আসতে থাকিবে এবং তোমাদের জ্ঞাত অন্যায় কার্যকলাপের প্রসার ঘটবে। তাহারপর এমনভাবে বিপদ আসতে থাকিবে যে, একটি অপরটির [পরেরটির] চেয়ে লঘুতর মনে হইবে। মুমিন ব্যক্তি বলিতে থাকিবে, এই বিপদে আমার ধ্বংস অনিবার্য। অতঃপর সে বিপদ কেটে যাবে এবং আরেকটি বিপদ এসে পতিত হইবে। তখন মুমিন ব্যাক্তি বলবে, হায়! এ বিপদে আমার ধ্বংস অনিবার্য। অতঃপর সেই বিপদও দূরীভূত হইবে। অতএব যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে নাজাত পেয়ে এবং জান্নাতে প্রবেশ লাভ করে আনন্দিত হইতে চায় সে যেন আল্লাহর প্রতি ও আখেরাত দিবসের প্রতি ঈমানদার অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে এবং লোকেদের সাথে এমন ব্যবহার করে, যেমনটি সে নিজের জন্য কামনা করে। যে ব্যক্তি ইমামের নিকট আনুগত্যের বায়আত করিল এবং প্রতিশ্রুতি দিলো, সে যেন যথাসাধ্য তাহার আনুগত্য করে। পরে অপর কেউ নেতৃত্ব দখলে তাহার সাথে বিবাদে লিপ্ত হলে এই শেষোক্ত জনকে হত্যা করো। আবদুর রহমান [রাজি.] বলেন, আমি [একথা শুনে] লোকেদের ভীড় থেকে আমার মাথা বের করলাম এবং আবদুল্লাহ বিন আমর [রাজি.] কে বললাম, আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ করে বলছি, আপনি কি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর নিকট এ হাদিস শুনেছেন? তিনি তাহার হাত দ্বারা তাহার দু কানের দিকে ইশারা করে বলেন, আমার দু কান তাহাঁর নিকট এ হাদিস শুনেছে এবং আমার অন্তর তা সংরক্ষণ করেছে। [৩২৮৮] [৩২৮৮] মুসলিম ১৮৪৪, নাসাঈ ৪১৯১, আবু দাঊদ ৪২৪৮, আহমাদ ৬৪৬৫, ৬৭৫৪। সহীহাহ ২৪১।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

সহিহ ইবনে মাজাহ ৪০৭৭

দাজ্জাল অবস্থানরত থাকিবে। তাহার সাথে থাকিবে সত্তর হাজার ইহূদী কারুকার্য খচিত ও খাপবদ্ধ তরবারিসহ। দাজ্জাল ঈসা [আঃ]-কে দেখামাত্র পানিতে লবণ বিগলিত হওয়ার ন্যায় বিগলিত হইতে থাকিবে এবং ভেগে পলায়ন করিতে থাকিবে। তখন ঈসা [আঃ] বলবেনঃ তোর উপর আমার একটা আঘাত আছে, যা থেকে তোর বাঁচার কোন উপায় নাই। তিনি লুদ্দ–এর পূর্ব ফটকে তাহার নাগাল পেয়ে যাবেন এবং তাহাকে হত্যা করবেন। অতঃপর আল্লাহ তাআলা ইহূদীদের পরাজিত করবেন। আল্লাহর সৃষ্টি যে কোন বস্তু– পাথর, গাছপালা, দেয়াল অথবা প্রাণী, যাহার আড়ালেই কোন ইহূদী লুকিয়ে থাকিবে, আল্লাহ তাহাকে বাকশক্তি দান করবেন এবং সে ডেকে বলবে, হে আল্লাহর মুসলমান বান্দা! এই যে এক ইহূদী, এদিকে এসো এবং তাহাকে হত্যা করো। তবে গারকাদ নামক গাছ কথা বলবে না। কারণ সেটা ইহূদীদের গাছ।
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ দাজ্জাল চল্লিশ বছর বিপর্যয় ছড়াবে। তাহার এক বছর হইবে অর্ধ বছরের সমান, এক বছর হইবে এক মাসের সমান, এক মাস এক সপ্তাহের সমান এবং অবশিষ্ট কাল অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বায়ুমণ্ডলে উড়ে যাওয়ার মত দ্রুত অতিক্রান্ত হইবে। তোমাদের কেউ সকালবেলা মদীনার এক ফটকে [প্রান্তে] থাকলে তাহার অপর ফটকে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! এতো ক্ষুদ্র দিনে আমরা কিভাবে নামায পড়বো? তিনি বলেনঃ তোমরা অনুমান করে সলাতের সময় নির্ধারণ করিবে, যেমন তোমরা লম্বা দিনে অনুমান করে সলাতের সময় নির্ধারণ করে থাক এবং এভাবে নামায আদায় করিবে।
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ ঈসা বিন মরিয়ম [আঃ] আমার উম্মাতের একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক ও ইনসাফগার ঈমাম হইবেন। তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, এমনভাবে শূকর হত্যা করবেন যে, তাহার একটিও অবশিষ্ট থাকিবে না। সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে তিনি জিয্য়া মওকুফ করবেন, যাকাত আদায় বন্ধ করবেন এবং না বকরীর উপর যাকাত ধার্য করা হইবে, আর না উটের উপর। লোকেদের মাঝে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতাহার অবসান হইবে। প্রত্যেক বিষাক্ত প্রাণী বিষশূন্য হয়ে যাবে। এমনকি দুগ্ধপোষ্য শিশু তাহার হাত সাপের মুখের ভিতর ঢুকিয়ে দিবে কিন্তু তা তাহার কোন ক্ষতি করিবে না। এক ক্ষুদ্র মানব শিশু সিংহকে তাড়া করিবে, তাও তাহার কোন ক্ষতি করিবে না। নেকড়ে বাঘ মেষ পালের সাথে এমনভাবে অবস্হান করিবে যেন তা তাহার পাহারায় রত কুকুর। পানিতে পাত্র পরিপূর্ণ হওয়ার মত পৃথিবী শান্তিতে পূর্ণ হয়ে যাবে। সকলের কলেমা এক হয়ে যাবে। আল্লাহ ব্যতীত কারো ইবাদত করা হইবে না। যুদ্ধ-বিগ্রহ তাহার সাজসরঞ্জাম রেখে দিবে। কুরাইশদের রাজত্বের অবসান হইবে। পৃথিবী রুপার পাত্রের ন্যায় স্বচ্ছ হয়ে যাবে। তাতে এমন সব ফলমূল উৎপন্ন হইবে যেমনটি আদম [আঃ]-এর যুগে উৎপাদিত হতো। এমনকি কয়েকজন লোক একটি আঙ্গুরের থোকার মধ্যে একত্র হইতে পারবে এবং তা সকলকে পরিতৃপ্ত করিবে। অনেক লোক একটি ডালিমের জন্য একত্র হইবে এবং তা সকলকে পরিতৃপ্ত করিবে। তাহাদের বলদ গরু হইবে এই এই [উচ্চ] মূল্যের এবং ঘোড়া স্বল্পমূল্যে বিক্রয় হইবে। লোকজন বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঘোড়া সস্তা হইবে কেন? তিনি বলেনঃ কারণ যুদ্ধের জন্য কখনো কেউ অশ্বারোহী হইবে না। তাহাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, গরু অতি মূল্যবান হইবে কেন? তিনি বলেনঃ সারা পৃথিবীতে কৃষিকাজ সম্প্রসারিত হইবে।
দাজ্জালের আবির্ভাবের তিন বছর পূর্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, তখন মানুষ চরমভাবে অন্নকষ্ট ভোগ করিবে। প্রথম বছর আল্লাহ তাআলা আসমানকে তিন ভাগের এক ভাগ বৃষ্টি আটকে রাখার নির্দেশ দিবেন এবং যমীনকে নির্দেশ দিলে তা এক– তৃতীয়াংশ ফসল কম উৎপাদন করিবে। এরপর তিনি আসমানকে দ্বিতীয় বছর একই নির্দেশ দিলে, তা দু –তৃতীয়াংশ কম বৃষ্টি বর্ষণ করিবে এবং যমীনকে হুকুম দিলে তাও দু –তৃতীয়াংশ কম ফসল উৎপন্ন করিবে। এরপর আল্লাহ তাআলা আকাশকে তৃতীয় বছরে একই নির্দেশ দিলে তা সম্পূর্ণভাবে বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দিবে। ফলে এক ফোঁটা বৃষ্টিও বর্ষিত হইবে না। আর তিনি যমীনকে নির্দেশ দিলে তা শস্য উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখবে। ফলে যমীনে কোন ঘাস জন্মাবে না, কোন সবজি অবশিষ্ট থাকিবে না, বরং তা ধ্বংস হয়ে যাবে, তবে আল্লাহ যা চাইবেন। জিজ্ঞাসা করা হলো, এ সময় লোকেরা কিরূপে বেঁচে থাকিবে? তিনি বলেনঃ যারা তাহলীল [লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ], তাকবীর [আল্লাহু আকবার], তাসবীহ [সুবহানাল্লাহ] ও তাহমীদ [আলহামদু লিল্লাহ] বলিতে থাকিবে এগুলো তাহাদের খাদ্যনালিতে প্রবাহিত করা হইবে।
আবু আবদুল্লাহ ইবন মাজাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি আবুল হাসান আত-তানাফিসী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে শুনিয়াছি। তিনি বলেছেন, আমি আবদুর রহমান আল-মুহারিবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, এই হাদিসখানি মকতবের উস্তাদগণের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন, যাতে তাহারা বাচ্চাদের এটা শিক্ষা দিতে পারেন। [৩৪০৯][৩৪০৯] [ আবু দাউদ ৪৩২১। মিশকাত ৬০৪৪,আয যিলাল ৩৯১ ,দঈফ আল-জামি ৬৩৮৪।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

সলাতে বিনয়ী হওয়ার ৩৩ উপায়

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “সলাতে বিনয়ী হওয়ার ৩৩ উপায়”

Your email address will not be published. Required fields are marked *