Description
সহীহ দু‘আ ঝাড়ফুঁক ও যিকর(পকেট সাইজ)
সহীহ দু‘আ ঝাড়ফুঁক ও যিকর(পকেট সাইজ)
সহিহ ইবনে মাজাহ ২৭১০
ইবন উমার [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান! দুটি জিনিস তোমার পাওনা ছিলো না। তাহার একটি এই যে, তোমার মৃত্যুর সময় তোমার মাল থেকে একটি অংশ [দান-খয়রাতের জন্য] নির্দিষ্ট করে দিয়াছি, যাতে তুমি [গুনাহ থেকে] পাকসাফ হইতে পারো। আর অপরটি হলো তোমার মৃত্যুর পর তোমার জন্য আমার বান্দাদের দোয়া। [২৭১০]তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।
সহিহ ইবনে মাজাহ ২৯৫৭
আবু হুরাইরাহ [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
আমি ইবন হিশামকে রকনে ইয়ামানী সম্পর্কে আতা বিন আবু রাবাহ [রাজি.] এর নিকট জিজ্ঞেস করিতে শুনিয়াছি। তিনি তখন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। আতা [রাজি.] বলেন, আবু হুরাইরাহ [রাজি.] আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন যে, নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ [রুকনে ইয়ামানীতে] সত্তরজন ফেরেশতা মোতায়েন আছেন। অতএব যে ব্যক্তি বলে, “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসয়ালুকাল আফওয়া, ওয়াল-আফিয়াতা ফিদ-দুনয়া ওয়াল-আখিরাতে রব্বানা আতিনা ফিদ-দুনয়া হাসানাতান ওয়াফিল-আখিরাতে হাসানাতান ওয়াকিনা আযাবান-নার,” তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন। [“হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করি দুনিয়া ও আখিরাতের। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়ার কল্যাণ দান করুন, আখেরাতেরও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন”]।
আতা বিন আবু রাবাহ [রাজি.] রুকনুল-আসওয়াদ [হাজরে আসওয়াদ] পৌঁছালে ইবন হিশাম [রাজি.] বলেন, হে আবু মুহাম্মদ! এই রুকনল আসওয়াদ সম্পর্কে আপনি কী জানতে পেরেছেন? আতা [রাজি.] বলেন, আবু হুরাইরাহ [রাজি.] আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে বলিতে শুনেছেনঃ “যে কেউ তাহার সামনা-সামনি হলো, সে যেন দয়াময় আল্লাহর হাতের সামনাসামনি হলো। ইবন হিশাম পুনরায় তাহাকে জিজ্ঞেস করেন, হে আবু মুহাম্মদ! তাওয়াফ সম্পর্কে কী এসেছে? আতা [রাজি.] বলেন, আবু হুরাইরাহ [রাজি.] আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে বলিতে শুনেছেনঃ “যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং কোন কথা না বলে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে, সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ, তাহার দশটি গুনাহ মুছে যাবে, তাহার জন্য দশটি নেকি লেখা হইবে এবং তাহার মর্যাদা দশগুণ বৃদ্ধি করা হইবে। আর যে ব্যক্তি তাওয়াফরত অবস্থায় কথা বলে, সে তাহার পদদ্বয় কেবল রহমাতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে, যেমন কারো পদদ্বয় পানিতে ডুবে থাকে।” [২৯৫৭]
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দূর্বল।ঝাড়ফুঁককারীর মজুরী।
সহিহ ইবনে মাজাহ ২১৫৬
আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] আমাদের তিরিশজন অশ্বারোহীকে এক ক্ষুদ্র সামরিক অভিযানে পাঠান। আমরা এক সম্প্রদায়ের নিকট পৌঁছে যাত্রাবিরতি করলাম এবং আমাদের মেহমানদারী করার জন্য তাহাদের অনুরোধ করলাম, কিন্তু তাহারা অস্বীকার করিল। ঘটনাক্রমে তাহাদের নেতা [বিষাক্ত প্রাণীর] হুলবিদ্ধ হল।তাহারা আমাদের কাছে এসে বলিল, তোমাদের মধ্যে এমন কি কেও আছে, যে বিছার কামড়ে ঝাড়ফুঁক করিতে পারে? আমি বললাম, হাঁ, আমি পারি। তবে তোমরা আমাদেরকে এক পাল ছাগল-ভেড়া না দিলে আমি ঝাড়ফুঁক করব না।তাহারা বলিল, আমরা তোমাদেরকে তিরিশটি বকরী দিব। আমরা তা গ্রহন করলাম এবং আমি তাহার উপর সাতবার আলহামদু সূরা পাঠ করলাম। সে সুস্থ হয়ে উঠলো এবং আমরা ছাগলগুলো গ্রহন করলাম। পরে এ ব্যাপারে আমাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলে আমরা বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আমাদের না পৌঁছা পর্যন্ত তোমরা তাড়াহুড়ো করোনা। আমরা তাহাঁর নিকট উপস্থিত হবার পর আমি যা করেছি তা তাহাঁকে অবহিত করলাম। তিনি বলেনঃ তুমি কিভাবে জানলে যে এটা দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা যায়! তোমরা সেগুলো বণ্টন করে নাও এবং তোমাদের সাথে আমাকেও একটি ভাগ দাও। [২১৫৬] তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
সহীহ দু‘আ ঝাড়ফুঁক ও যিকর(পকেট সাইজ)
Reviews
There are no reviews yet.