Description
সহীহ দু‘আ ঝাড়ফুঁক ও যিকর (বড়)
সহীহ দু‘আ ঝাড়ফুঁক ও যিকর (বড়)
সহিহ ইবনে মাজাহ ৩৯৭৪
নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবা [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ এবং মহান আল্লাহর যিকর ব্যতীত মানুষের প্রতিটি কথা তাহার জন্য ক্ষতির কারণ হইবে।[৩৩০৬][৩৩০৬] তিরমিজি ২৪১২। আত তালীকুর রাগীব ৪/১০।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
সহিহ ইবনে মাজাহ ১৮৫৬
সাওবান [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, সোনা-রূপা [মূল্যবান সম্পদ] পুঞ্জীভূত করে রাখার সমালোচনায় কুরআনের আয়াত নাযিল হলে সাহাবায়ে কিরাম বলেন, তাহলে আমরা কোন সম্পদ ধরে রাখবো? উমার [রাজি.] বলেন, আমি তা জেনে তোমাদের বলে দিবো। অতঃপর তিনি তাহাঁর উটকে দ্রুত হাঁকিয়ে রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর সাক্ষাত পেয়ে গেলেন। আমিও তাহার পিছনে পিছনে গেলাম। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কোন সম্পদ সঞ্চয় করিব? নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, তোমাদের প্রত্যেকেই যেন অর্জন করে কৃতজ্ঞ অন্তর, যিকিরকারী জিহবা এবং আখরাতের কাজে তাহাকে সহায়তাকারী ঈমানদার স্ত্রী। [১৮৫৬] যিকিরের ফাদীলাত
সহিহ ইবনে মাজাহ ৩৭৯০
আবু দারদা [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ আমি কি তোমাদের আমলসমূহের সর্বোত্তমটি সম্পর্কে তোমাদেরকে অবহিত করিব না, যা তোমাদের প্রভুর নিকট সরবাধিক প্রিয়, তোমাদের মর্যাদা অধিক উন্নীতকারী, তোমাদের সোনা-রুপা দান করার চেয়ে এবং যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তোমাদের শত্রুদের হত্যা করা এবং তোমাদের নিহত হওয়ার চেয়ে উত্তম? সাহাবীগণ বলেনঃ ইয়া রাসূলআল্লাহ! সেটি কি? তিনি বলেনঃ আল্লাহর যিকির। মুআয বিন জাবাল [রাজি.] বলেন, কোনো মানুষের জন্য আল্লাহর যিকিরের চেয়ে উত্তম আমল নাই, যা তাহাকে মহামহিম আল্লাহর শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারে। [৩১২২]
সহিহ ইবনে মাজাহ ৩৭৯২
আবু হুরাইরাহ [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যখন আমার যিকির করে এবং আমার যিকিরে তাহার দু ঠোঁট নড়াচড়া করে তখন আমি তাহার সঙ্গে থাকি। [৩১২৪] [৩১২৪] আহমাদ ১০৫৮৫।আত তালীকুর রাগীব ২/২২৭, তাখরিজুল মিশকাত ২২৮৫।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
সহিহ ইবনে মাজাহ ৩৮৩০
ইবন আব্বাস [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] তাহাঁর দুআয় বলিতেন ঃ “হে প্রভু! আমাকে সাহায্য করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না, আমাকে সহযোগিতা করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সহযোগিতা করো না, আমার জন্য কৌশল এঁটো, আমার বিরুদ্ধে কৌশল এঁটো না, আমাকে হেদায়াত দান করো, আমার জন্য হেদায়াতের পথ সহজতর করো এবং যে ব্যক্তি আমার উপর অত্যাচার ও সীমা লঙ্ঘন করে তাহার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো। হে প্রভু! আমাকে তোমার জন্য কৃতজ্ঞ বান্দা বানাও, তোমার জন্য অনেক যিকিরকারী, তোমাকে অধিক ভয়কারী, তোমার অধিক আনুগত্যকারী, তোমার নিকট অনুনয়-বিনয়কারী ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তনকারী বানাও। হে আমার রব! আমার তওবা কবুল করো, আমার সমস্ত গুনাহ ধুয়ে-মুছে ফেলো, আমার দুআ কবুল করো, আমার অন্তরকে হেদায়াত দান করো, আমার যবানকে সোজা রাখো, আমার যুক্তি-প্রমাণ বহাল করো এবং আমার মনের সমস্ত হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভূত করো। আবুল হাসান আত-তানাফিসী [রাজি.] বলেন – আমি ওয়াকী[রাজি.] কে বললাম, আমি কি তা বেতেরের কুনূতে পড়তে পারি? তিনি বলেন, হাঁ। [৩১৬২] [৩১৬২] তিরমিজি ৩৫৫১, আবু দাউদ ১৫১০, আহমাদ ১৯৯৮। আয যিলাল ৩৮৪।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
সহীহ দু‘আ ঝাড়ফুঁক ও যিকর (বড়)
Reviews
There are no reviews yet.