Description
সহীহ নামায ও দু‘আ শিক্ষা (পূর্ণাঙ্গ)
সহীহ নামায ও দু‘আ শিক্ষা (পূর্ণাঙ্গ)
যাকাত পরিশোধ করা ফরয্।
সহিহ ইবনে মাজা ১৭৮৩
ইবন আব্বাস [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আঃ], মুআয বিন জাবাল [রাজি.]-কে ইয়ামানে পাঠাবার প্রাক্কালে বলেন, নিশ্চয়ই তুমি এমন একটি সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছো যারা আহলে কিতাব। তুমি সর্বপ্রথম তাহাদেরকে “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই এবং আমি আল্লাহ্র রসূল” এ কথার সাক্ষ্য দেয়ার আহ্বান জানাবে। তাহারা তা মেনে নিলে তুমি তাহাদের জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ্ তাহাদের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সলাত ফরয করিয়াছেন। তাহারা যদি এ কথাও মেনে নেয়, তবে তাহাদের আরও জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ্ তাহাদের সম্পদের উপর যাকাত ফরয করিয়াছেন, যা তাহাদের ধনীদের নিকট থেকে আদায় করা হইবে এবং তাহাদের গরীবদের মধ্যে বিতরণ করা হইবে। তাহারা যদিও এটিও মেনে নেয় তবে তাহাদের উত্তম সম্পদ [গ্রহণ] থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। তুমি মযলুমের বদদোয়াকে ভয় করো। কেননা মযলুমের আহাজারি ও আল্লাহ্র মাঝে কোন পর্দা [প্রতিবন্ধক] নেই। [১৭৮৩][১৭৮৩] সহিহ বুখারি (তাওহীদ প্রঃ) হাদিস নং ১৩৯৫, ১৪৯৬,২৪৪৮, ১৪৪৮, ৪৩৪৭, ৭৩৭১, ৭৩৭২, মুসলিম ১৯, তিরমিজি ৬২৫, নাসাঈ ২৪৩৫, আবু দাউদ ১৫৮৪, আহমাদ ২০৭২, দারেমী ১৬১৪, ইরওয়া ৭৮২, সহীহ আবু দাউদ ১৪১২, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
সহিহ ইবনে মাজা ২২৫২
আবদুল্লাহ বিন আমার ইবনল আস[রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেছেনঃ তোমাদের যে কেউ দাসী ক্রয় করিলে সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণ এবং এর স্বভাবের মধ্যে যে কল্যাণ রেখেছেন তা প্রার্থনা করি। আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি”, অতঃপর বরকতের জন্য দোয়া করিবে। আর তোমাদের কেউ উট ক্রয় করিলে সে যেন তাহাঁর কুজের উপরিভাগ ধরে বরকতের জন্য দোয়া করে এবং পূর্বানুরুপ বলে। [২২৫২] [২২৫২] আবু দাউদ ২১৬০, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/২৭৫, আল হাকিম ফিল মুসতাদরাক ২/৪৯, আদাবুয যিফাফ ২০, সহীহ আবু দাউদ ১৮৭৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হুজ্জাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবন হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আলী ইবনল মাদানী বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ রাবীর সদৃশ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা]
এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
সহিহ ইবনে মাজা ২৭৭৬
উম্মু হারাম বিনতু মিলহান [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এক দিন আমার ঘরে ঘুমালেন। তিনি হাসতে হাসতে জাগ্রত হলেন। আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কে হাসালো? তিনি বলেনঃ আমার উম্মতের কতক লোককে সমুদ্রপৃষ্ঠে উপবিষ্ট অবস্থায় আমার সামনে পেশ করা হইয়াছে, যেভাবে বাদশাহ সিংহাসনে উপবিষ্ট থাকে। উম্মু হারাম[রাজি.] বলেন, আপনি আল্লাহর নিকট দোয়া করুন যাতে তিনি আমাকে তাহাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। আনাস[রাজি.] বলেন, তিনি তাহার জন্য দোয়া করিলেন। তিনি পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন, অতঃপর পূর্বের ন্যায় জাগ্রত হলেন। উম্মু হারাম[রাজি.] জিজ্ঞাসা করিলে রাসূলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] পূর্বানুরুপ জবাব দেন। থাকে। উম্মু হারাম[রাজি.] বলেন, আপনি আল্লাহর নিকট দোয়া করুন যাতে তিনি আমাকে তাহাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। রাসূলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেনঃ তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত থাকিবে। আনাস[রাজি.] বলেন, মুসলমানগণ মুআবিয়া বিন আবু সুফিয়ান [রাজি.] -র নেতৃত্বে সর্বপ্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা হলে উম্মু হারাম [রাজি.] ও তাহার স্বামী উবাদা ইবনস সামিত [রাজি.] -এর সাথে জিহাদে রওয়ানা হলেন। তাহারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করেন। আরোহণের জন্য তাহার নিকট একটি জন্তুযান আনা হলো। জন্তুটি তাহাকে ছুড়ে ফেলে দিলে তিনি তাতে নিহত হন। [২৭৭৬]
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। [২৭৭৬] সহিহ বুখারি (তাওহীদ প্রঃ) হাদিস নং ২৮০০, ২৮৯৫, ২৯৬৪, মুসলিম ১৯১২, নাসাঈ ৩১৭২, আবু দাউদ ২৪৯০, দারেমী ২৪২১, সহীহ আবু দাউদ ২২৪৯-২২৫০, বায়হাকী ফিস সুনান ১০/১২২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
সহিহ ইবনে মাজা ২৭৯৬
আবদুল্লাহ বিন আবু আওফা [রাজি.] হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কাফের বাহিনীসমুহকে বদদোয়া করে বলেনঃ “হে কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী আল্লাহ! আপনি বাহিনীসমুহকে পরাস্ত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাহাদের পরাস্ত করুন এবং তাহাদের ভীত-কম্পিত করুন। [২৭৯৬]
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
সহীহ নামায ও দু‘আ শিক্ষা (পূর্ণাঙ্গ)
Reviews
There are no reviews yet.