Select Page

সহীহ মুসলিম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ৬ষ্ঠ খন্ড

Description

সহীহ মুসলিম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ৬ষ্ঠ খন্ড

৯. অধ্যায়ঃ

অপবিত্রতার গোসলের বিবরণ

৬০৫

আয়েশাহ[রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] যখন অপবিত্রতা থেকে গোসল করিতেন তখন প্রথমে দুই হাত ধুতেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধুতেন। তারা নামাজের ওযূর মত ওযূ করিতেন। তারপর পানি নিয়ে তাহার  আঙ্গুলগুলো চুলের গোড়ায় ঢুকাতেন। এমনিভাবে যখন মনে করিতেন যে, চুল ভিজে গেছে তখন মাথায় তিন আযল [দুই হাতের তালু ভরা] পানি ঢালতেন। তারপর সমস্ত শরীরে পানি ঢেলে দিতেন। তারপর তাহার  উভয় পা ধুয়ে ফেলতেন। {৮২} [ইসলামিক ফা:- ৬০৯, ইসলামিক সে.- ৬২৫]

{৮২} অপবিত্রতার গোসল: এমনভাবে করিবে যাতে শরীরের কোন জায়গা শুষ্ক না থাকে, যেমন দাড়ি মাথার চুল খিলাল করিবে, বগল নাভি ও নিম্নাঙ্গের খবর রাখবে, পায়ের আঙ্গুলের খিলাল করিবে। উত্তম হলো, ডান দিক থেকে আরম্ভ করা ও পশ্চিম দিকে মুখ করে গোসল করা। গোসল সমাধা করে ওযূর দুআ পড়ে নিবে। তাতে নামায আদায় করা যাবে ওযূর ভঙ্গের কারণ না পেলে।

৬০৬

হিশাম হইতে বর্ণীত আছেঃ

অবিকল সানাদে উক্ত হাদীসটি বর্ণিত আছে। তবে তাদের হাদীসে পা ধোয়ার কথা উল্লেখ নেই। [ইসলামিক ফা:- ৬১০, ইসলামিক সে.- ৬২৬]

৬০৭

আয়েশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] অপবিত্রতা থেকে গোসলের সময় প্রথমে তাহার  উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধুতেন। এরপর আবু মুআবিয়ার হাদীসের অবিকল উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি উভয় পা ধোয়ার কথা উল্লেখ করেননি। [ইসলামিক ফা:- ৬১১, ইসলামিক সে.- নেই]

৬০৮

আয়েশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রসূলূল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] যখন অপিবত্রতা থেকে গোসল করিতেন তখন পাত্রে হাত ঢুকানোর আগে প্রথমেই তাহার  দুই হাত ধুতেন, তারপর নামাজের ওযূর মত ওযূ করিতেন। [ইসলামিক ফা:- ৬১২, ইসলামিক সে.- ৬২৭]

৬০৯

আবুদল্লাহ্ ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেছেন, আমার খালা মাইমুনাহ্ আমাকে বলেছেন, আমি রসূলূল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর অপবিত্রতার গোসলের যন্যে পানির পাত্র এগিয়ে দিতাম। তিনি প্রথমে দুহাতের কব্জি পর্যন্ত দুবার অথবা তিনবার ধুয়ে নিলেন। তারপর পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে বাম হাতে লজ্জাস্থান ধুয়ে পরিষ্কার করিলেন। পরে বাম হাতখানা মাটিতে খুব করে রগড়ালেন, এরপর ধুয়ে নিলেন। অতঃপর উক্তস্থান থেকে সরে গিয়ে পা দুখানা ধুলেন। অতঃপর আমি তাহার  শরীর মোছার যন্যে কাপড় বা রুমাল নিয়ে আসলে তিনি তা ব্যবহার না করে বরং ফেরত দিলেন। {৮৩} [ইসলামিক ফা:- ৬১৩, ইসলামিক সে.- ৬২৮]

{৮৩} অপবিত্র গোসলের পর রুমাল ব্যবহার করা যাবে কিনা, সহাবাগণের তিনটি মত দেখা যায়। [১] ওযূ গোসল করে রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে, দোষ নেই। যেমন আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] বলেন। [২] ওযূ ও গোসল করে কাপড় বা রুমাল ব্যবহার করা যাবেনা। যেমন ইবন ওমর [রাঃআঃ] বলেন : [৩] ওযূতে রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না, গোসলে ব্যবহার করা যাবে। যেমন ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] বলেন। রসূলূল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] থেকে নিখুঁতভাবে বিধান উল্লেখ নেই যে, প্রয়োযনবোধে উভয়ই রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করা যাবে।

৬১০

মুহাম্মাদ ইবন সাব্বাহ্, আবু বাকর ইবন আবু শাইবাহ্, আবু কুরায়ব, আল আশাজ্জ ও ইসহাক্ প্রত্যেকেই ওয়াকী হইতে এবং ইয়াহইয়া ইবন ইয়াহইয়া ও আবু কুরায়ব আবু মুআবিয়াহ্ হইতে উভয়ে আমাশ হইতে বর্ণীত আছেঃ

উক্ত সানাদের হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তাদের উভয়ের হাদীসে তিন আঁযলা পানি মাথায় ঢেলে দেয়ার কথা নেই। আর ওয়াকী-এর হাদীসে ওযূর পূর্ণ বর্ণনা দেয়া হয়েছে। অতঃপর তিনি কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়ার কথা তার হাদীসে বর্ণনা করিয়াছেন। আবু মুআবিয়ার হাদীসে রুমালের কথা উল্লেখ নেই। [ইসলামিক ফা:- ৬১৪, ইসলামিক সে.- ৬২৯]

৬১১

মাইমুনাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে রুমাল দেয়া হল, কিন্তু তিনি তা স্পর্শ করিলেন না। তিনি পানি নিয়ে এরূপ করছিলেন অর্থাৎ পানি ঝেড়ে ফেলেছিলেন। [ইসলামিক ফা:- ৬১৫, ইসলামিক সে.- ৬৩০]

৬১২

আয়েশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] যখন অপবিত্রতা থেকে গোসল করিতেন তখন হিলাব-এর [দুধ দোহন করার পাত্রের] মতো একটি পানির পাত্র চেয়ে নিতেন। অতঃপর এক হাত দিয়ে পানি নিয়ে প্রথমে মাথার ডান দিকে ধুয়ে ফেলতেন তারপর বাম দিক ধুতেন, তারপর উভয় হাত দিয়ে পানি নিয়ে মাথায় ঢেলে দিতেন। [ইসলামিক ফা:- ৬১৬, ইসলামিক সে.- ৬৩১]

১০. অধ্যায়ঃ

অপবিত্রতার গোসলে কতটুকু পরিমাণ পানি ব্যবহার মুস্তাহাব, পুরুষ এবং মেয়েলোক একই অবস্থায় একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা এবং তাদের উভয়ের মধ্যে একযনের অবশিষ্ট পানি দিয়ে অপরযনের গোসল করার বর্ণনা।

৬১৩

আয়েশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এক ফারাক্ [সাড়ে সাত কেজি] পরিমাণ পাত্রের পানি দিয়ে অপবিত্রতার গোসল করিতেন। {৮৪} [ইসলামিক ফা:- ৬১৭, ইসলামিক সে.- ৬৩২]

{৮৪} ইমাম নাবাবী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন : ওযূ এবং গোসলের যন্য পানির পরিমাণ নির্ধারিত নেই। কারণ কোন রিওয়ায়াতে গোসলের যন্য এক ফারাক [সাড়ে সাত কেজি] কোন রিওয়ায়াতের তিন মুদ। কাযী আয়ায [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, এ রিওয়ায়াতের মুদের অর্থ সা [আড়াই কেজি] তা হলে উভয় রিওয়ায়াতের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে। অপর এক রিওয়ায়াতে বর্ণিত হচ্ছে যে, আয়েশাহ[রাঃআঃ] এক সা পানি দ্বারা গোসল করিয়াছেন। অপর এক রিওয়ায়াতে পাঁচ মাককুফ গোসলের যন্য আর ওযূর যন্য এক মাককুফ, এ রিওয়ায়াতে মাককুফের দ্বারা মুদ উদ্দেশ্য করা হয়েছে আর মুদের পরিমাণ ১১ ছটাক। অন্য এক রিওয়ায়াতে গোসলের যন্য সা এবং ওযূর যন্য এক মুদের বর্ণনা করিয়াছেন। অন্য আর এক রিওয়ায়াতে ওযূর যন্য এক মুদ এবং গোসলের যন্য এক সা থেকে পাঁচ মুদ পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন। সুতরাং ইমাম শাফিই এবং অন্যান উলামায়ি কিরাম বলেন, রিওয়ায়াতেরর এ মতপার্থক্যের দ্বারা বুঝা যায় যে, স্থান, কাল, পাত্র কিংবা অবস্থা ভেদে পানি কিছুটা কম-বেশি হইতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে যাতে ওযূর অঙ্গসমূহ এবং গোসলের যন্য শরীরের কোন স্থানে শুকনা না থাকে ভালভাবে ভিজে যায় বরং একটি পশমের গোড়াও যেন শুকনা না থাকে কিন্তু প্রয়োযনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা সমীচীন নয়। এমন কি নদীর কিনারায় বসে ওযূ কিংবা গোসল করলেও প্রয়োযনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা যাবে না। [নাবাবী]

৬১৪

আয়েশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এক ফারাক পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করিতেন। অনেক সময় আমি এবং তিনি একই পাত্রে গোসল করতাম।

সুফইয়ানের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে “একই পাত্র থেকে”।

কুতাইবাহ বলেন, সুফইয়ান বলেছেন, ফারাক্ হল তিন সা পরিমাণ। {৮৫} [ইসলামিক ফা:- ৬১৮, ইসলামিক সে.- ৬৩৩]

৮৫. ইমাম নাবাবী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন: স্বামী এবং স্ত্রীর পবিত্রতার গোসল এক সঙ্গে একই পাত্রে জায়িয। এ ব্যাপারে মুসলিমদের … ঐকমত্য হয়েছে। অনুরূপভাবে পুরুষের ব্যবহারকৃত পানি হইতে উদ্ধৃত পানি দ্বারা মহিলাদের গোসল জায়িয। এ বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে। উক্ত মহিলার ব্যবহারকৃত পানি হইতে উদ্ধৃত পানি দ্বারা পুরুষের যন্য পবিত্রতা অর্জন করা সম্পর্কে কিছুটা মতানৈক্য থাকলেও সহীহ হাদীসের দ্বারা জায়িয প্রমানিত হয়েছে, তবে মহিলাদেরকে একটু সতর্কতার সাথে পানি ব্যবহার করা উচিত যাতে শরীরের ব্যবহারকৃত পানি পুনরায় পাত্রে পতিত না হয় কেননা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়া পানি ব্যবহার জায়িয নয়। [নাবাবী]

৬১৫

আবু সালামাহ ইবন আবদুর রহমান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আয়েশাহ[রাঃআঃ] এর দুধ ভাই একবার তাহার  কাছে গেলাম। অতঃপর তাহার  দুধ ভাই তাঁকে রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন। তিনি একটি পাত্র আনালেন যা ছিল এক সা পরিমাণ। তারপর তিনি গোসল করিলেন। আমাদের এবং তাহার  মধ্যে পর্দা ছিল। তিনি তাহার  মাথায় তিনবার পানি ঢাললেন। আবু সালামা বলেন, রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর স্ত্রীগণ মাথার চুল কেটে রাখতেন তা ওয়াফরা-এর ন্যায় হয়ে যেত [ঘার বরাবর লম্বা চুলই ওয়াফরা]। {৮৬} [ইসলামিক ফা:- ৬১৯, ইসলামিক সে.- ৬৩৪]

{৮৬} [ওয়াফরা] ঐ চুলকে বলা হয় যা কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকে। কাযী আয়ায বলেন, আরবের মেয়েরা মাথার চুল বেনী গেঁথে রাখতো। সুতরাং রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর স্ত্রীগণ তাহার  [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর মৃত্যুর পর সম্ভবত এরূপ করিতেন সৌন্দর্য বর্জন করার যন্য। ইমাম নাবাবী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, কাযী আয়াযের মতো অন্যান্য উলামায়ে কিরামও বলেছেন। রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর জীবদ্দশায় তাঁরা এরূপ করিয়াছেন বলে ধারণা করা যায় না।

৬১৬

আয়েশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] যখন গোসল করিতেন তখন ডানদিক থেকে শুরু করিতেন। তিনি প্রথমেই ডান হাতে পানি ঢেলে তা ধুয়ে ফেলতেন। তারপর ডান হাত দিয়ে শরীরের যেখানে নাপাকী থাকত সেখানে পানি ঢেলে দিতেন এবং বাম হাত দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতেন। এটা শেষ করে তিনি মাথায় পানি ঢালতেন।

আয়েশাহ [রাঃআঃ] বলেন, আমি এবং রসুলূল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আঃ] উভয়েই অপবিত্র অবস্থায় একই পাত্র থেকে [পানি নিয়ে] গোসল করতাম। [ইসলামিক ফা:- ৬২০, ইসলামিক সে.- ৬৩৫]

৬১৭

আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেছেন, তিনি এবং নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ] একই পাত্র থেকে গোসল করিতেন যাতে তিন মুদ্‌ বা তার সম পরিমান পানি ধরত। [ইসলামিক ফা:- ৬২১, ইসলামিক সে.- ৬৩৬]

৬১৮

আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি এবং রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একই পাত্র থেকে [পানি নিয়ে] গোসল করতাম। আমাদের দুযনের হাত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তাতে লাগত। এ গোসল ছিল অপবিত্রতা থেকে। [ইসলামিক ফা:- ৬২২, ইসলামিক সে.- ৬৩৮]

৬১৯

আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি এবং রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একই পাত্র থেকে গোসল করতাম যা আমার এবং তাহার  মাঝখানে থাকত। তিনি আমার থেকে আগে তাড়াতাড়ি করে ফেলতেন। তখন আমি বলতাম, আমার যন্য একটু রেখে দিন, আমার যন্য একটু রেখে দিন। তিনি {আয়েশাহহ [রাঃআঃ]} বলেন যে তারা উভয়েই অপবিত্র ছিলেন। [ইসলামিক ফা:- ৬২৩, ইসলামিক সে.- ৬৩৭]

৬২০

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, মাইমুনাহ্‌ [রাঃআঃ] আমাকে বলেন যে, তিনি ও রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একই পাত্রে গোসল করিতেন। [ইসলামিক ফা:- ৬২৪, ইসলামিক সে.- ৬৩৯]

৬২১

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] মাইমুনাহ্‌ [রাঃআঃ] এর উদ্বৃত্ত পানি দিয়ে গোসল করিতেন। [ইসলামিক ফা:- ৬২৫, ইসলামিক সে.- ৬৪০]

৬২২

উম্মু সালামাহ্‌ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, তিনি এবং রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একই পাত্রে অপবিত্রতার গোসল করিতেন।[ইসলামিক ফা:- ৬২৬, ইসলামিক সে.- ৬৪১]

৬২৩

আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] পাঁচ মাক্‌কুক পানি দিয়ে গোসল করিতেন এবং এক মাক্‌কুক পানি দিয়ে ওযূ করিতেন। আর ইবন আল মুসান্না বলেছেন: পাঁচ মাক্‌কুক দিয়ে গোসল করিতেন এবং বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবন মুআয আবদুল্লা ইবন আবদুল্লা থেকে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি ইবন জাব্‌র শব্দটি উল্লেখ করেননি। [মাক্‌কুক ও মুদ্‌ পৌনে এগার ছটাক পরিমাণ এবং এক সা দুসের এগার ছটাক পরিমাণ।] [ইসলামিক ফা:- ৬২৭, ইসলামিক সে.- ৬৪২]

৬২৪

আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এক মুদ্‌ পানি দিয়ে ওযূ করিতেন এবং এক সা থেকে পাঁচ মুদ্‌ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করিতেন। [ইসলামিক ফা:- ৬২৮, ইসলামিক সে.- ৬৪৩]

৬২৫

সাফীনাহ্‌ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, এক সা পানিতে রসূলু ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর অপবিত্রতার গোসল সম্পন্ন হয়ে যেত এবং এক মুদ্‌ পানিতে ওযূ হয়ে যেত। [ইসলামিক ফা:- ৬২৯, ইসলামিক সে.- ৬৪৪]

৬২৬

সাফীনাহ্‌ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এর সাহাবা আবু বকর [রাঃআঃ] বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] এক সা পানি দিয়ে গোসল এবং এক মুদ্‌ পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন [ওযূ]করিতেন। আর ইবন হুজ্‌র তাহার  বর্ণিত হাদীসে রয়েছে বা তিনি বলেছেন, এক মুদ্‌ পানি তাঁকে অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করিতেন। তিনি [আবু রাইহানাহ্‌] বলেন, সাফীনাহ্‌ অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমি তাহার  বর্ণিত হাদীসের উপর নির্ভর করিতে পারি না। [ইসলামিক ফা:- ৬৩০, ইসলামিক সে.- ৬৪৫]

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “সহীহ মুসলিম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ৬ষ্ঠ খন্ড”

Your email address will not be published. Required fields are marked *