Description
হজ্জ্বে আধ্যাত্মিক শিক্ষা
হজ্জ্বে আধ্যাত্মিক শিক্ষা বই
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৩২৭
নাফি {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
আবদুল্লাহ ইবন উমার {রাজি.} হজ্জ অথবা উমরার উদ্দেশ্যে বের হলে যুল-হুলায়ফা {১} নামক স্থানে নামাজ কসর করিতেন। {হাদীসটি ঈমাম মালেক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন}{১} যুল-হুলায়ফা মদীনা শরীফ হইতে ছয় মাইল দূরবর্তী একটি জায়গার নাম।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৬৬৬
ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
নাবী সাঃআঃ-এর সহধমির্ণী আয়েশা ও হাফসা {রাজি.}-এর নফল রোযার নিয়তে ফজর হল এবং তাঁদের দুজনের জন্য খাদ্যদ্রব্য হাদিয়াস্বরূপ প্রেরণ করা হয়। তাঁরা উহা দ্বারা রোযা ভেঙে ফেলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} প্রবেশ করলেন। ইবন শিহাব {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, আয়েশা {রাজি.} বলেছেন, হাফসা {রাজি.} ছিলেন পিতার মত সাহসী। আর তিনি আমার আগে কথা বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমি এবং আয়েশা আমরা উভয়ের নফল রোযা অবস্থায় ফজর হল। অতঃপর আমাদের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য হাদিয়ারূপে প্রেরণ করা হয়। আমরা তা দ্বারা রোযা ভেঙে ফেলি। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} তাঁর বক্তব্য শোনার পর বলিলেন, তোমরা এই রোযার পরিবর্তে অন্য একদিন {রোযা} কাযা করিবে। {যয়ীফ, আবু দাঊদ ২৪৫৭, তিরমিজী ৭৩৫, আলবানী হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন, {যয়ীফ আল-জামে ৬৩০৩} তবে ঈমাম মালেক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল}
ইয়াহইয়া {রাজি.} বলেন, আমি মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি}-কে বলিতে শুনেছে, যে ভুলবশত নফল রোযা অবস্থায় আহার অথবা পান করে, তার উপর কাযা ওয়াজিব নয়। নফল রোযা অবস্থায় যেই দিন আহার বা পান করেছে সেই দিনের রোযা পূর্ণ করিবে এবং রোযা ভঙ্গ করিবে না। আর নফল রোযাদার যদি এমন কোন অসুবিধার সম্মুখীন হয়, যার কারণে রোযা ভাঙতে হয়, তবে তাকে কাযা করিতে হইবে না, যদি কোন ওযরবশত রোযা ভেঙে থাকে এবং ইচ্ছা করে রোযা ভঙ্গ না করে। আর আমি সেই ব্যক্তির জন্য নফল নামাযের কাযা জরুরী মনে করি না, যে ব্যক্তি এমন কোন হাদাস্-এর {পেশাব-পায়খানার আবেগ, বায়ু নির্গত হওয়ার আবেগ} কারণে নামাজ ভেঙেছে, যাকে বাধা দিয়ে রাখা যায় না, যাতে ওযূর প্রয়োজন হয়।
ইয়াহইয়া {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেছেন, কোন ব্যক্তি নেক আমলসমূহের মধ্যে কোন নেক আমলে প্রবৃত্ত হলে {নেক আমল বলিতে} যথা নামাজ, রোযা, হজ্জ বা অনুরূপ কোন নেক আমল, যা লোকে নফলস্বরূপ করে থাকে, সেই ব্যক্তির জন্য উহা ছেড়ে দেওয়া সমীচীন নয়, যতক্ষণ উহা সুন্নত মুতাবিক পূর্ণ না করে। যদি নামাযের নিয়তে তকবীর বলে তবে দুই রাকআত না পড়া পর্যন্ত উহা ছাড়বে না। রোযা রাখলে সেই দিনের রোযা পূর্ণ না করা পর্যন্ত ইফতার করিবে না। ইহরাম বাঁধলে তার হজ্জ পূর্ণ না করা পর্যন্ত ইহরাম ছাড়বে না। যখন তাওয়াফে প্রবেশ করিবে সাত তাওয়াফ পূর্ণ না করা পর্যন্ত উহা ছাড়বে না।
এই সকলের মধ্যে কোন ইবাদতই আরম্ভ করে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়, যতক্ষণ উহা পূর্ণ না করে। তবে কোন ওযরবশত যা তার জন্য প্রকাশ পায়, যেরূপ লোকের ওযর প্রকাশ পেয়ে থাকে, যেমন পীড়াসমূহ যার কারণে মাযূর {অক্ষম} হয়ে যায় অথবা অন্য কোন কারণে অক্ষম বলে গণ্য হয়। এটা এজন্য যে, আল্লাহ্ তাআলা কিতাবে ইরশাদ করিয়াছেন পানাহার করিতে থাক, যতক্ষণ পর্যন্ত সাদা বর্ণের সুতা {সুবহে সাদিক} কালবর্ণের সুতা {সুবহে কাযিব} হইতে প্রকাশিত না হয়। অতঃপর রাত্রি পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর। ফলে তার উপর রোযা পূর্ণ করা ওয়াজিব।
যেমন আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেন তোমরা আল্লাহ্র জন্য হজ্জ ও উমরাহ্ পূর্ণ কর। অতঃপর যদি কোন ব্যক্তি নফল হজ্জের ইহরাম বাঁধে যে ইতিপূর্বে ফরয হজ্জ আদায় করেছে, সেই ব্যক্তির জন্য হজ্জ আরম্ভ করার পর তা ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি নেই। মাঝপথে ইহরাম ছেড়ে দিয়ে হালাল হওয়া চলবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন নফল কাজে প্রবৃত্ত হয়, তার জন্য উহা পূর্ণ করা ওয়াজিব, যেমন ফরযকে পূর্ণ করা হয়। আমি যা শুনিয়াছি তন্মধ্যে এটা অতি উত্তম।এই হাদীসখানার তাহকীকঃ অন্যান্য
মুয়াত্তা ইমাম মালিক ৭৩০
নাবী {সাঃআঃ}-এর সহধর্মিনী আয়েশা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
{হাজ্জাতুল বিদা} বিদায় হজ্জের সময় আমরা রসূলুল্লাহ্ {সাঃআঃ}-এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ শুধু উমরার, আর কেউ কেউ উমরা ও হজ্জ উভয়ের, আর কেউ শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন। রসূলুল্লাহ্ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} নিজে বেঁধেছিলেন শুধু হজ্জের ইহরাম। সুতরাং যারা শুধু উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা উমরা করেই ইহরাম খুলে ফেলেছেন। আর যাঁরা হজ্জ ও উমরা উভয়ের বা শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা দশ তারিখ পর্যন্ত আর ইহরাম খুলেননি। {বোখারি ১৫৬২, মুসলিম ১২১১}এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
হজ্জ্বে আধ্যাত্মিক শিক্ষা
Reviews
There are no reviews yet.