Description
হিসনুল মুসলিম
হিসনুল মুসলিম বই টি কিনুন
কাফিরকে হত্যাকারীর মর্যাদা
সুনান আবু দাউদ ২৪৯৫
আবু হুরাইরাহ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলেনঃ কোন কাফির ও তার হত্যাকারী {মুসলিম} কখনও জাহান্নামে একত্র হইবে না।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
মহান আল্লাহর পথে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রহরা দেয়ার ফাযীলাত
২৫০১
সাহল ইবনল হানযালিয়া {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তারা {সাহাবীগণ} রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} সঙ্গে হুনাইনের যুদ্ধের উদ্দেশ্যে সফরে বের হন। রাত আসা পর্যন্ত তার একে অপরের অনুসরন করে চলতে থাকেন। পথিমধ্যে রাসূলুলাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ}-কে সলাতের সময় উপস্থিত হওয়ার কথা জানানো হলো। এমন সময় একজন অশ্বারোহী এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাদের কাছে থেকে পৃথক হয়ে অমুক অমুক পাহাড়ে উঠে দেখিতে পেলাম যে, হাওয়াযিন গোত্রের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই তাহাদের উট, বকরী সবকিছু নিয়ে হুনাইনে একত্র করেছে, একথা শুনে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} হেসে বলিলেনঃ ইনশাআল্লাহ আগামীকাল এসব কিছুই মুসলিমদের গনীমাতের বস্তু হইবে। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ আজ রাতে কে আমাদের পাহাড়া দিবে? আনাস ইবন আবু মারসাদ আল-গানাবী {রাদি.} বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি। তিনি বলিলেনঃ তাহলে ঘোড়ায় চড়ো। তিনি তার একটি ঘোড়ায় চড়ে রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} কাছে গেলেন। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} তাহাকে বলিলেনঃ তুমি এ গিরিপথের দিকে খেয়াল করিবে এবং এর শেষ চূড়ায় গিয়ে পাহারা দিবে। সাবধান! আমরা যেন তোমার অসর্তকতার কারণে ধোঁকায় না পড়ি। অতঃপর ভোর হলে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} সলাতের জন্য বেরিয়ে এসে দু রাকআত {সুন্নাত} সলাত আদায় করে বলিলেনঃ তোমাদের অশ্বারোহীর কি খবর? সাহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তার কোন খবর অবহিত নই। অতঃপর সলাতের ইক্বামাত দেয়া হলে রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} সলাত পড়ালেন এবং গিরিপথের দিকে তাকাতে থাকলেন। সলাত শেষে সালাম ফিরিয়ে তিনি বলিলেনঃ তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো, তোমাদের অশ্বারোহী এসে গেছে। সাহাবীগণ বলিলেন, আমরা গাছের ফাঁক দিয়ে গিরিপথের দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি আসতেছেন। এমনকি তিনি রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} সামনে এসে তাঁকে সালাম দিয়ে বললো, আমি রসূলুল্লাহর {সাল্লাল্লাহু আঃ} নির্দেশ অনুযায়ী গিরিপথের শেষ প্রান্তে গিয়েছি এবং ভোর বেলায় উভয় পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছি, কিন্তু কোন {শত্রুকেই} দেখিতে পাইনি। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} তাহাকে বলিলেনঃ তুমি কি রাতে ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমেছিলে? তিনি বলিলেন, সলাত ও প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া নামিনি। রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ} তাহাকে বলিলেনঃ তুমি তোমার জন্য {জান্নাত} অবধারিত করেছো, এরপর তোমার কোন {অতিরিক্ত} নেক কাজ না করলেও চলবে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনান আবু দাউদ ২৫১২
আবু ইমরান আসলাম ইবন ইয়াযীদ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমরা মাদীনাহ হইতে কনস্টান্টিনোপলে অভিমুখে বের হলাম। আমাদের সেনাপতি ছিলেন আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবনল ওয়ালীদ {রাদি.}। রোমের সৈন্যবাহিনী শহরের প্রাচীর-বেষ্টনীর বহির্ভাগ থেকে প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিল। জনৈক মুসলিম সৈনিক শত্রুবাহিনীর উপর হামলা করে বসলো। লোকেরা বললো, হায়, থামো! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আবু আইউব আল-আনসারী {রাদি.} বলিলেন, এ আয়াত আমাদের আনসার সম্প্রদায় সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিলো। আল্লাহ যখন তাহাঁর নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-কে সাহায্য করিলেন এবং দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করিলেন, আমরা মনে মনে বলিলাম, এসো! এবার আমরা নিজেদের ধন-সম্পদ দেখাশুনা ও ঠিকঠাকে মনোযোগ দেই। মহান আল্লাহ তখন এ আয়াত অবতীর্ণ করিলেন ঃ “তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো এবং নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না।“ {সূরাহ আল-বাক্বারাহ, আয়াত ১৯৫}। আমাদের নিজেদের হাতকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করার অর্থ হচ্ছে, ধন-সম্পদ নিয়েই ব্যস্ত থাকা, এর পরিবৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করা এবং জিহাদ ছেড়ে দেয়া। আবু ইমরান {রাদি.} বলেন, এরপর থেকে আবু আইউব আল-আনসারী {রাদি.} সর্বদা আল্লাহর পথে জিহাদে শরীক হইতেন, অবশেষে তিনি জিহাদ করিতে করিতে কুস্ত্তনতুনিয়াতে সমাহিত হন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
হিসনুল মুসলিম
Reviews
There are no reviews yet.