Description
আমানত ও খিয়ানত
আমানত ও খিয়ানত বই
সুনান আবু দাউদ ৪৭২৮
আবু হুরায়রা {রাদি.}-এর মুক্তদাস আবু ইউনুস সুলাইম ইবন জুবাইর {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা {রাদি.} -কে এ আয়াতটি পড়তে শুনেছিঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আমানতসমূহ তার প্রাপকের নিকট পৌঁছিয়ে দিতে আদেশ করছেন,… আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা” {সূরাহ আন-নিসাঃ ৫৮} পর্যন্ত। আবু হুরায়রা বলেন, আমি রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ}-কে তাহাঁর বৃদ্ধা আঙ্গুলকে কানে এবং তর্জনীকে দুই চোখের উপর রাখতে দেখেছি। আবু হুরায়রা {রাদি.} বলেন, আমি রসূলুল্লাহকে {সাল্লাল্লাহু আঃ} {আয়াতটি} পড়তে দেখেছি এবং তাহাঁর আঙ্গুল দুটি রাখতে দেখেছি। ইবন ইউনুস বলেন, আল-মুকরী বলিয়াছেন, অর্থাৎ “আল্লাহ নিশ্চয়ই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা” -এর অর্থ হলো আল্লাহ্র শ্রবণশক্তি ও দর্শনশক্তি আছে। ঈমাম আবু দাউদ {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন, এতে জাহমিয়াদের মতবাদ বাতিল হয়ে যায়।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
আল্লাহ্র দর্শন লাভ
সুনান আবু দাউদ ৪৭২৯
জারীর ইবন আবদুল্লাহ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর নিকট বসা ছিলাম। তিনি চৌদ্দ তারিখের রাতে পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলিলেন, অচিরেই তোমরা তোমাদের রবকে দেখিতে পাবে যেমন তোমরা এ চাঁদকে দেখছো, আর একে দেখিতে তোমাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না। যদি তোমরা সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের পূর্বে সলাত আদায়ে পরাভূত না হও তাহলে তা আদায় করে নাও। অতঃপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করো”।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনান আবু দাউদ ৪৭৩০
আবু হুরাইরাহ {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহকে দেখিতে পাবো? তিনি বলিলেন, মেঘহীন দুপুরে তোমাদের কি সূর্য দেখিতে কষ্ট হয়? সাহাবীগন বলিলেন, না। তিনি আবার প্রশ্ন করিলেন, মেঘহীন নির্মল আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখিতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তারা বলিলেন, না। তিনি {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিলেন, সেই, মহান সত্ত্বার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা এর একটি {চাঁদ বা সূর্য} যেভাবে নির্বিঘ্নে দেখিতে পাও সেভাবে তাঁকেও তোমরা দেখবে।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
সুনান আবু দাউদ ৪৭৩১
আবু রাযীন {রাদি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, একদা আমি বলিলাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদের প্রত্যেকেই কি ক্বিয়ামাতের দিন তার রবকে দেখিতে পাবে? তাহাঁর সৃষ্টির মাঝে এর কোন নিদর্শন আছে কি? তিনি বলিলেন, হে আবু রাযীন! তোমাদের প্রত্যেকে কি পূর্ণিমা রাতের চাঁদ দেখে না {অর্থাৎ চৌদ্দ তারিখে নির্মল আকাশে}? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, তাহলে আল্লাহ তো মহান। ইবন মুআস বলেন, তিনি {সাল্লাল্লাহু আঃ} বলিলেন, তা {চাঁদ} তো আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যকার একটি সৃষ্টি। আর আল্লাহ তো মহিমান্বিত ও সুমহান।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
আমানত ও খিয়ানত
Reviews
There are no reviews yet.