Select Page

ইসলামের দৃষ্টিতে মিত্রতা ও বৈরিতা

৳ 15.00

Description

ইসলামের দৃষ্টিতে মিত্রতা ও বৈরিতা

ইসলামের দৃষ্টিতে মিত্রতা ও বৈরিতা

মুয়াত্তা মালিক ঃ মাতৃপক্ষীয় ভাইয়ের এবং বোনের মীরাসের বর্ণনা
________________________________________
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : আমাদের নিকট সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত মাসআলা এই যে, মৃত ব্যক্তির যদি কোন সন্তান থাকে কিংবা তার পিতা কিংবা দাদা {পিতামহ} জীবিত থাকে তবে মাতৃপক্ষের ভাই-বোন মীরাস হইতে বঞ্চিত {মাহ্রূম} হইবে। যদি উল্লিখিত ওয়ারিসগণ না থাকে তবে তারাও মীরাস পাবে। যদি একজন আখিয়াফি ভাই কিংবা বোন থাকে তবে সে অর্ধেক মীরাস পাবে। যদি দুজন আখিয়াফি ভাই কিংবা বোন থাকে তবে প্রত্যেকে অর্ধেক অংশ পাবে। যদি ততোধিক থাকে তবে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের সকলে মিলে সমান সমান অংশ পাবে এবং বোন ভাইয়ের সমান অংশই পাবে। আল্লাহ তাআলা স্বীয় কিতাবে বলেন :

وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوْ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ فَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ

যদি পিতা-মাতা ও সন্তানহীন কোন পুরুষ অথবা নারীর উত্তরাধিকারী থাকে তার এক বৈপিত্রেয় ভাই অথবা ভগ্নী তবে প্রত্যেকের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ, তারা এর অধিক হলে সকলে সমঅংশীদার হইবে এক-তৃতীয়াংশে। অর্থাৎ এরূপ অবস্থায় পুরুষ ও স্ত্রীলোকে তফাৎ হইবে না, সকলে সমান অংশ পাবে।

মুয়াত্তা মালিকঃ সহোদর ভাই-বোনদের হিস্যা
________________________________________
মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : আমাদের নিকট সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত মাসআলা এই যে, মৃত ব্যক্তির ছেলে কিংবা নাতি কিংবা পিতা জীবিত থাকলে সহোদর ভাই-বোন মীরাস পাবে না। আর যদি মৃত ব্যক্তির দাদা জীবিত না থাকে শুধু কন্যা বা নাতিন {পুত্রের কন্যা} থাকে তবে সহোদর ভাই-বোন ওয়ারিস হইবে; যবীল ফুরূযের হিস্যা দেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকিবে তা সহোদর ভাই-বোন পাবে। ভাই বোনের দ্বিগুণ পাবে। যদি যবীল ফুরূযের হিস্যা দেওয়ার পর মাল না থাকে তবে তারা মাহরূম হইবে।

মালিক {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} বলেন : মৃত ব্যক্তির বাপ ও দাদা যদি না থাকে, আর না ছেলে এবং নাতি থাকে, শুধু একজন সহোদর বোন থাকে, তবে সে অর্ধেক হিস্যা পাবে। যদি দুই বোন কিংবা ততোধিক সহোদর বোন থাকে, তবে দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। যদি এই বোনদের সঙ্গে কোন ভাইও থাকে তবে কন্যাদের জন্য নির্দিষ্ট অংশ থাকিবে না, তারা যবীল ফুরূযদের অংশ প্রদান করে আসাবা হইবে। যা অবশিষ্ট থাকে তা হইতে বোনেরা দ্বিগুণ এই হারে তারা পাবে। শুধু এক অবস্থায় তাদের জন্য কিছুই থাকিবে না, বরং বৈপিত্রেয় ভাই বোনদের সঙ্গে শরীক হয়ে যাবে।

যেমন কোন মৃত স্ত্রীলোকের স্বামী বিদ্যমান আছে, মাতা আছে এবং বৈপিত্রেয় ভাই সকল আছে এবং সহোদর ভাই সকলও বিদ্যমান আছে। প্রথমত স্বামী অর্ধেক অংশ পাবে। মাতা এক-ষষ্ঠাংশ এবং বৈপিত্রেয় ভাইয়েরা এক-তৃতীয়াংশ পাওয়ার পর আর মাল অবশিষ্ট রইল না। এমতাবস্থায় সহোদর ভাইগণ বৈপিত্রেয় ভাইদের সাথে এক-তৃতীয়াংশ হিস্যার শরীক হইবে। কেননা সকলের মাতা এক হওয়াতে সবাই তৃতীয়াংশে শরীক হল। অংশের ভাগ এই হারে, ভাই বোনের দ্বিগুণ এ সম্বন্ধে আল্লাহ্ পাক স্বীয় কিতাবে বলেন :

“যদি পিতা-মাতা সন্তানহীন কোন পুরুষ অথবা নারীর উত্তরাধিকারী থাকে তার এক বৈপিত্রেয় ভাই অথবা ভগ্নী তবে প্রত্যেকের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ তারা এর অধিক সমঅংশীদার হইবে এক-তৃতীয়াংশে।”

ইসলামের দৃষ্টিতে মিত্রতা ও বৈরিতা

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ইসলামের দৃষ্টিতে মিত্রতা ও বৈরিতা”

Your email address will not be published. Required fields are marked *