Description
প্রগতির স্রোতে ভাসমান নারী
প্রগতির স্রোতে ভাসমান নারী বই
প্রয়োজনবশত নামাযে অন্যদিকে দেখা এবং দস্তক বা তালি দেয়া
মুয়াত্তা মালিক ৩৭৮
সাহ্ল ইবন সাদ সাঈদী {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বনী আমর ইবন আউফ কাবীলার দিকে তাঁদের একটি বিষয় মীমাংসা করার উদ্দেশ্যে গমন করেন, তখন নামাযের সময় উপস্থিত হয়। মুয়াযযিন আবু বাকর {রাজি.}-এর খিদমতে এসে বলিলেন, আপনি নামাযে লোকের ঈমামতি করিতে সম্মত আছেন কি? তা হলে আমি ইকামত বলতাম। আবু বাকর {রাজি.} আচ্ছা বলে সম্মতি দিলেন। অতঃপর আবু বাকর {রাজি.} নামাজ আদায় করালেন। লোকজন যখন নামাযে, তখন হঠাৎ রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ তশরীফ আনলেন। তিনি কাতারে ফাঁক করে একেবারে প্রথম কাতারে গিয়ে দাঁড়ালেন। এতে লোকেরা তালি দিতে শুরু করলেন। আবু বাকর {রাজি.} {তাঁর অভ্যাস ছিল} নামাযে অন্যদিকে মনোযোগ দিতেন না। কিন্তু যখন লোকদের তালি দেওয়া বেড়ে গেল, তখন তিনি পেছনের দিকে ফিরে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃকে দেখিতে পেলেন। তারপর আবু বাকর {রাজি.} পিছনে যেতে চাইলেন। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ ইঙ্গিতে তাহাকে নির্দেশ দিলেন আপন জায়গায় স্থির থাক। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ তাহাকে ঈমামতিতে বহাল থাকার নির্দেশ দিলেন বলে আবু বাকর {রাজি.} স্বীয় হাতদুটি তুলে আল্লাহর হামদ বা শুকরিয়া আদায় করলেন। অতঃপর পেছনে সরে সফের বরাবর এসে দাঁড়ালেন। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ আগে বেড়ে নামাজ আদায় করালেন। নামাজ সমাপ্ত করার পর তিনি বলিলেন, হে আবু বকর! তোমাকে যখন আমি নির্দেশ দিলাম, তখন {ঈমামতিতে} স্থির থাকতে তোমাকে কোন জিনিস বাধা প্রদান করিল ? {উত্তরে} আবু বাকর {রাজি.} বলিলেন, রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর সামনে {উপস্থিতিতে} আবু কোহাফার সন্তানের জন্য নামাযের ঈমামতি করা সাজে না। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, আমি তোমাদেরকে অনেক হাততালি দিতে দেখে অবাক হয়েছি। কারো নামাযে কোন বিষয়ে প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন তসবীহ {সুবহানাল্লাহ্} বা {আল্লাহু আকবার} উচ্চারণ করে। কেননা সে তসবীহ্ উচ্চারণ করলেই তার দিকে মনোযোগ দেয়া হইবে। হাততালি দেয়া অবশ্য নারীর জন্য। {বোখারি ৬৮৪, মুসলিম ৪২১} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
মুয়াত্তা মালিক ৪০০
আয়েশা {রাজি.} হইতে বর্ণিত আছেঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলেছেন, আবু বাকরকে বলে দাও, তিনি যেন লোকের ঈমামতি করেন। তখন আয়েশা {রাজি.} বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ! আবু বাকর আপনার স্থানে দাঁড়ালে কান্নার জন্য লোকে তাঁর আওয়াযই শুনতে পাবে না। কাজেই আপনি লোকের ঈমামতি করার জন্য উমার {রাজি.}-কে নির্দেশ প্রদান করুন। তিনি বলিলেন, আবু বাকরকে বলে দাও তিনি যেন লোকের ঈমামতি করেন। আয়েশা {রাজি.} বলেন, তখন আমি হাফ্সাকে বললাম তুমি রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃকে বল, আবু বকর {রাজি.} যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, কান্নার জন্য লোকে তাঁর আওয়ায শুনতে পাবে না, কাজেই লোকের ঈমামতি করার জন্য উমার {রাজি.}-কে বলুন। হাফসা {রাজি.} উহা করলেন। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ তাঁর উত্তরে বলিলেন, তোমরা অবশ্যই ইউসুফ {আ}-এর সঙ্গিনী নারীদের মত। আবু বাকরকেই বলে দাও তিনি যেন লোকের ঈমামতি করেন। {এই উত্তর শুনে} হাফসা {রাজি.} আয়েশা {রাজি.}-কে উদ্দেশ্য করে বলিলেন, আমি তোমার নিকট হইতে কোন মঙ্গল লাভ করিনি। {সহীহ, বোখারি ৬৭৯} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
কাফন চুরির সাজা
মুয়াত্তা মালিক ৫৪৮
আবু রিজাল মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} তাঁর মাতা আমরা বিনতে আবদুর রহমান {রহমাতুল্লাহি আলাইহি} হইতে বর্ণিত আছেঃ
তাহাকে বলিতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ {সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম} কাফন-চোর পুরুষ এবং নারীকে লানত করিয়াছেন। {সহীহ, বাইহাকী ৮/২৭০. আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন {সিলসিলাতুস সহীহা ২১৪৭}} এই হাদীসখানার তাহকীকঃ সহীহ হাদীস
প্রগতির স্রোতে ভাসমান নারী
Reviews
There are no reviews yet.