Description
বিদআতের ভয়াবহতা
বিদআতের ভয়াবহতা
লু লু ওয়াল মারজান ৩৩৬
আবদুল্লাহ {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} নামাজ আদায় করিলেন। {রাবী ইব্রাহীম {রহমাতুল্লাহি আ:} বলেনঃ আমার জানা নেই, তিনি বেশী করিয়াছেন বা কম করিয়াছেন।} সালাম ফিরানোর পর তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! নামাজের মধ্যে নতুন কিছু হয়েছে কি? তিনি বললেনঃ তা কী? তাঁরা বললেনঃ আপনি তো এরূপ এরূপ নামাজ আদায় করিলেন। তিনি তখন তাহাঁর দুপা ঘুরিয়ে কিবলাহমুখী হলেন। আর দুটি সাজদাহ আদায় করিলেন। অতঃপর সালাম ফিরালেন। পরে তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেনঃ যদি নামাজ সম্পর্কে নতুন কিছু হতো, তবে অবশ্যই তোমাদের তা জানিয়ে দিতাম। কিন্তু আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ। তোমরা যেমন ভুল করে থাক, আমিও তোমাদের মত ভুলে যাই। আমি কোন সময় ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। তোমাদের কেউ নামাজ সম্বন্ধে সন্দেহে পতিত হলে সে যেন নিঃসন্দেহ হবার চেষ্টা করে এবং সে অনুযায়ী নামাজ পূর্ণ করে। অতঃপর যেন সালাম ফিরিয়ে দুটি সাজদাহ দেয়। {বোখারী হাদিস পর্ব ৮ : /৩১ হাঃ ৪০১, মুসলিম ৫/১৯, হাঃ ৫৭২} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
রাতের সলাতে দুআ এবং রাতে সলাতে দণ্ডায়মান হওয়া।
লু লু ওয়াল মারজান ৪৩৭
ইবনি আব্বাস {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, একবার আমি মাইমূনাহ {রাজি.}-এর ঘরে রাত কাটালাম। তখন নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ} উঠে তাহাঁর প্রয়োজনাদি সেরে মুখ-হাত ধুয়ে শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পরে আবার জেগে উঠে পানির মশকের নিকট গিয়ে এর মুখ খুললেন। এরপর মাঝারি রকমের এমন অযূ করিলেন যে, তাতে অধিক পানি লাগালেন না। অথচ পুরা উযূই করিলেন। অতঃপর তিনি নামাজ আদায় করিতে লাগলেন। তখন আমিও জেগে উঠলাম। তবে আমি কিছু দেরী করে উঠলাম। এজন্য যে, আমি এটা পছন্দ করলাম না যে, তিনি আমার অনুসরণকে দেখে ফেলেন। যা হোক আমি অযূ করলাম। তখনও তিনি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। সুতরাং আমি গিয়ে তাহাঁর বাম দিকে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন তিনি আমার কান ধরে তাহাঁর ডান দিকে আমাকে ঘুরিয়ে নিলেন। এরপর তাহাঁর তেরো রাকআত নামাজ পূর্ণ হলো। অতঃপর তিনি আবার কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনকি নাক ডাকাতেও লাগলেন। তাহাঁর অভ্যাস ছিল যে, তিনি ঘুমালে নাক ডাকাতেন। এরপর বিলাল {রাজি.} এসে তাঁকে জাগালেন। তখন তিনি নতুন অযূ না করেই নামাজ আদায় করিলেন। তাহাঁর দুআর মধ্যে এ দুআও ছিলঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে, আমার চোখে, আমার কানে, আমার ডানে-বামে, আমার উপর-নীচে, আমার সামনে-পেছনে, আমার জন্য নূর দান করুন।
কুরায়ব {রহমাতুল্লাহি আ:} বলেন, এ সাতটি আমার তাবূতের মত। এরপর আমি আব্বাসের পুত্রদের একজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম, তিনি আমাকে এ সাতটি অঙ্গের কথা বর্ণনা করিলেন এবং রগ, গোশ্ত, চুল ও চামড়ার উল্লেখ করিলেন এবং আরো দুটির কথা উল্লেখ করেন। {বোখারী হাদিস পর্ব ৮০ : /১০ হাঃ ৬৩১৬, মুসলিম ৬/২৬, হাঃ ৭৬৩} এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
লু লু ওয়াল মারজান ৪৩৯
ইবনি আব্বাস {রাজি.} হইতে বর্ণীত আছেঃ
তিনি বলেন, নাবী {সাল্লাল্লাহু আঃ}-এর নামাজ ছিল তের রাকআত অর্থাৎ রাতে। {তাহাজ্জুদ ও বিত্রসহ}। {বোখারী হাদিস পর্ব ১৯ : /১০ হাঃ ১১৩৮, মুসলিম ৬/২৬, হাঃ ৭৬৪}
এই হাদীস খানার তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
বিদআতের ভয়াবহতা
Reviews
There are no reviews yet.