Select Page
Sale!

সহীহ মুসলিম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ১ম খন্ড

Original price was: ৳ 330.00.Current price is: ৳ 264.00.

Description

সহীহ মুসলিম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ১ম খন্ড

২৪. অধ্যায়ঃ

আগুনে রান্না খাবার খেয়ে ওযূ করার বিধান মানসুখ [রহিত] হওয়া সম্পর্কে

৬৭৭

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

একদা রসূলূল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একটি বকরীর কাঁধের গোশ্‌ত খেলেন তারপর নামায আদায় করিলেন কিন্তু ওযূ করিলেন না। [ইসলামিক ফা:- ৬৭৯, ইসলামিক সে.- ৬৯৪]

৬৭৮

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রাসুলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] একবার হাড়ে লাগানো গোশ্‌ত অথবা গোশ্‌ত খেলেন। তারপর নামায আদায় করিলেন; কিন্ত ওযূ করিলেন না এবং পানিও স্পর্শ করিলেন না। [ইসলামিক ফা:- ৬৮০, ইসলামিক সে.- ৬৯৫]

৬৭৯

আম্‌র ইবন উমাইয়্যাহ্‌ আয্‌ যামরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি একবার দেখলেন যে, রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একটী বকরীর কাঁধের গোশ্‌ত কেটে খাচ্ছেন। তারপর তিনি [সাল্লাল্লাহু আঃ] নামায আদায় করিলেন আর ওযূ করিলেন না। [ইসলামিক ফা:- ৬৮১, ইসলামিক সে.- ৬৯৬]

৬৮০

আম্‌র ইবন উমাইয়্যাহ আয্‌ যামরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-কে দেখলাম তিনি একটী বকরীর কাঁধের গোশ্‌ত [ছুরি দিয়ে] কাটছেন। এরপর তিনি তা খেলেন। ইতিমধ্যেই নামাজের যন্যে ডাকা হল। তিনি তখন দাঁড়িয়ে গেলেন এবং ছুরিটি ফেলে দিলেন এবং নামায আদায় করিলেন; কিন্তু ওযূ করিলেন না। [ইসলামিক ফা:- ৬৮২, ইসলামিক সে.- ৬৯৭]

ইবন শিহাব বলেন, আলী ইবন আবদুল্লা ইবন আব্বাস তাহার  পিতা আবদুল্লা ইবন আব্বাস-এর মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] থেকে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফা:- ৬৮২, ইসলামিক সে.- ৬৯৭]

৬৮১

আম্‌র বলেন, বুকায়র ইবন আল আশাজ্জ কুরায়ব-এর সূত্রে নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর স্ত্রী মাইমূনাহ্‌ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একবার তাহার  কাছে বসে কাঁধের গোশ্‌ত খেলেন, তারপর নামায আদায় করিলেন কিন্তু ওযূ করিলেন না। [ইসলামিক ফা:- ৬৮২, ইসলামিক সে.- ৬৯৭]

৬৮২

ইয়াকূব ইবন আল আশাজ্জ কুরায়ব-এর সূত্রে হইতে বর্ণীত আছেঃ

নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর স্ত্রী মায়মুনাহ্‌ [রাঃআঃ] থেকে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফা:- ৬৮২, ইসলামিক সে.- ৬৯৭]

৬৮৩

আবু রাফি [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর যন্য বকরীর পেটের গোশ্‌ত ভুনা করতাম [তিনি তা খেতেন] তারপর পুনরায় ওযূ না করেই নামায আদায় করিতেন। [ইসলামিক ফা:- ৬৮২, ইসলামিক সে.- ৬৯৭]

৬৮৪

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একবার দুধ পান করিলেন। তারপর পানি আনালেন। এরপর কুলি করিলেন এবং বলিলেন, এতে তৈলাক্ত পদার্থ রয়েছে। [ইসলামিক ফা:- ৬৮৩, ইসলামিক সে.- ৬৯৮]

৬৮৫

আহমাদ ইবন ইসা [রাহিমাহুল্লাহ], যুহায়র ইবন হার্‌ব, হারমালাহ্‌ ইবন ইয়াহ্‌ইয়া প্রত্যেকেই হইতে বর্ণীত আছেঃ

ইবন শিহাব থেকে উকায়ল-এর সানাদে যুহরী থেকে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফা:- ৬৮৪, ইসলামিক সে.- ৬৯৯]

৬৮৬

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একবার কাপড় পরে নামাজের যন্য বের হলেন। এমন সময় কিছু রুটি ও গোশ্‌ত উপঢৌকন এলো। এরপর তিনি [সেখান থেকে] তিনি লুকমা খেলেন। তারপর লোকদেরকে নিয়ে নামায আদায় করিলেন এবং পানি স্পর্শও করিলেন না। [ইসলামিক ফা:- ৬৮৫, ইসলামিক সে.- ৭০০]

৬৮৭

মুহাম্মাদ ইবন আম্‌র ইবন আতা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি একদিন ইবন আব্বাস [রাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। তারপর তিনি ইবন হাল্‌হালাহ্‌-এর হাদীস [উপরোক্ত হাদীস]-এর অনুরূপ বর্ণনা করেন। সেখানে উল্লেখ আছে যে, ইবন আব্বাস [রাঃআঃ]রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] কে এমন করিতে দেখেছেন। আর এ হাদীসের রাবী শুধু নামায আদায়ের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। লোকদেরকে নিয়ে কথাটির উল্লেখ করেননি। [ইসলামিক ফা:- ৬৮৬, ইসলামিক সে.- ৭০১]

২৫. অধ্যায়ঃ

উটের গোশ্‌ত খেয়ে ওযূ করা সম্পর্কে

৬৮৮

জাবির ইবন সামুরাহ্‌ [রাযি:] হইতে বর্ণীত আছেঃ

এক লোক রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করিল, আমি কি বকরীর গোশ্‌ত খেয়ে ওযূ করব? তিনি বলিলেন, তোমার ইচ্ছা ওযূ করিতে পার আর নাও করিতে পার। সে বলিল,আমি কি উটের গোশ্‌ত খেয়ে ওযূ করব? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, উটের গোশ্‌ত খেয়ে তুমি ওযূ করিবে। সে বলিল, আমি কি বকরীর ঘরে নামায আদায় করিতে পারি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। সে বলিল, আমি কি উটের ঘরে নামায আদায় করিতে পারি? তিনি বলিলেন, না। {৯৮} [ইসলামিক ফা:- ৬৮৭, ইসলামিক সে.- ৭০২]

{৯৮} যেহেতু অত্র হাদীসে স্পষ্ট প্রমাণ করছে যে, উটের গোশ্‌ত খেলে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। সেহেতু কোন প্রকার মন্তব্য ছাড়াই এ নির্দেশ মেনে নিতে হইবে। ওযূ অবস্থায় উটের গোশ্‌ত খেয়ে নামায আদায়ের ইচ্ছা করলে অবশ্যই পুনরায় ওযূ করিতে হইবে। উটের আস্তাবলে নামায আদায়ের নিষেধের কারণ হচ্ছে, উট দুষ্ট প্রকৃতির বিরাট পশু। নামায আদায়কারীর ক্ষতিসাধন করিতে পারে। পক্ষান্তরে বকরীর ঘরে নামায আদায় করলে ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা নেই। [নাবাবী]

৬৮৯

আবু বক্‌র ইবন আবু শায়বাহ্‌ ও কাসিম ইবন যাকারিয়্যা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

জাবির ইবন সামুরাহ [রাঃআঃ] হইতে আবু কামিল-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফা:- ৬৮৮, ইসলামিক সে.- ৭০৩]

২৬. অধ্যায়ঃ

পবিত্রতা সম্পর্কে নিশ্চিত বিশ্বাস থাকার পর ওযূ ভঙ্গের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিলে সে ওযূ দিয়ে নামায আদায় করা জায়িয হওয়ার দলীল

৬৯০

আব্বাদ ইবন আত্‌ তামীম তার চাচা হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি নাবী [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর কাছে সে ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলেন নামাজের মধ্যে যার এমন মনে হয় যেন কিছু [বায়ু] বের হল। তিনি [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলিলেন, সে [নামায ছেড়ে] যাবে না যতক্ষণ না [বায়ু বের হবার] শব্দ শুনবে অথবা [তার] গন্ধ পাবে।

আবু বক্‌র ও যুহায়র ইবন হার্‌ব তাদের বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে, ঐ ব্যক্তি ছিলেন আবদুল্লা ইবন যায়দ। [ইসলামিক ফা:- ৬৮৯, ইসলামিক সে.- ৭০৪]

৬৯১

আবু হুরাইয়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলেন, তোমাদের কেউ যখন তার পেটের মধ্যে কিছু অনুভব করে তারপর তার সন্দেহ দেখা দেয় যে, পেট থেকে কিছু বের হল কি না। তখন সে যেন মাসজিদ থেকে কখনও বের না হয় যতক্ষন না শব্দ শোনে অথবা গন্ধ পায়। [অর্থাৎ ওযূ ভঙ্গের পূর্ণ বিশ্বাস না হওয়া পর্যন্ত যেন বের না হয়।] [ইসলামিক ফা:- ৬৯০, ইসলামিক সে.- ৭০৫]

২৭. অধ্যায়ঃ

মৃত যন্তুর চামড়া পাকা [দাবাগত] করার পর পবিত্র হয়ে যায়। {৯৯}

{৯৯} ইমাম নববী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেনঃ যে সমস্ত বস্তুর দ্বারা ভিজা চামড়া শুকিয়ে যায় এবং তার দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়। অতঃপর আর চামড়া পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এ জাতীয় জিনিসের দ্বারা চামড়া পাকা [দাবাগত] করা বৈধ আছে। যেমন- আনারের [ডালিমের] ছাল ফিটকিরী, লবণ ইত্যাদি। শুধুমাত্র রোদ্রে শুকালে চামড়া দাবাগত তথা পাকা হইবে না। পাকা [দাবাগত দেয়া] চামড়া জীবিত পশুর হোক অথবা মৃত পশুরই হোক যে কোন কাজে ব্যবহার করা অথবা বিক্রি করা জায়িয আছে। [নাবাবী]

৬৯২

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, মাইমূনাহ্‌ [রাঃআঃ]-এর দাসীকে কেউ একটি বকরী সদকাহ্‌ দিল। পরে সে বকরীটি মারা যায়। সে সময় রাসুলুল্লাহ[সাল্লাল্লাহু আঃ] মরে পড়ে থাকা বকরীটির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থা দেখে তিনি বলিলেন, তোমরা কেন চামড়া খুলে নিয়ে তা পাকা করে তা দিয়ে উপকৃত হও না? সাহাবাগণ বলিলেন, এটা যে মৃত। তিনি বলিলেন, [তাতে কি] এটা খাওয়া হারাম [চামড়া ব্যবহার করা তো হারাম নয়]।

আবু বাক্‌র ও ইবন ওমর মাইমূনাহ্‌ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। [অর্থাৎ রাবী মাইমূনাহ্‌ আবদুল্লা ইবন আব্বাস নন] [ইসলামিক ফা:- ৬৯১, ইসলামিক সে.- ৭০৬]

৬৯৩

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] একটি মৃত বকরী দেখলেন যা মাইমূনাহ্‌ [রাঃআঃ]-এর দাসীকে সদাকাহ্‌ হিসেবে দেয়া হয়েছিল। অতঃপর রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলিলেন, তোমরা এর চামড়া দিয়ে উপকৃত হও না কেন? সাহাবাগণ বলিলেন, এটা তো মৃত। তিনি বলিলেন, এটা তো খাওয়া হারাম। [ইসলামিক ফা:- ৬৯২, ইসলামিক সে.- ৭০৭]

৬৯৪

হাসান আল হুলওয়ানী ও আব্‌দ ইবন হুমায়দ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

সানাদে ইউনুস-এর রিওয়াতের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছে। [ইসলামিক ফা:- ৬৯৩, ইসলামিক সে.- ৭০৮]

৬৯৫

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] ফেলে দেয়া একটি মরা বকরীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন যা মাইমূনাহ্‌ [রাঃআঃ]-এর দাসীকে সদকাহ হিসেবে দেয়া হয়েছিল। রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলিলেন, তারা এর চামড়া কেন খুলে নিল না? চামড়াটি পাকা করে তা দিয়ে উপকৃত হত। [ইসলামিক ফা:- ৬৯৪, ইসলামিক সে.- ৭০৯]

৬৯৬

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

মাইমূনাহ্‌ [রাঃআঃ] তাঁকে জানান যে, রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-এর কোন এক স্ত্রীর একটি পালিত বকরী ছিল। সেটি মারা গেল। তখন রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] বলিলেন, তোমরা কেন চামড়া খুলে নিচ্ছ না সেটা দিয়ে উপকৃত হইতে! [ইসলামিক ফা:- ৬৯৫, ইসলামিক সে.- ৭১০]

৬৯৭

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ] মাইমূনাহ্‌ [রাঃআঃ]-এর দাসীর একটি মরা বকরীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বলিলেন, তোমরা এর চামড়া দিয়ে উপকৃত হও না কেন? [ইসলামিক ফা:- ৬৯৬, ইসলামিক সে.- ৭১১]

৬৯৮

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-কে বলিতে শুনেছি যে, চামড়া যখন পাকা [দাবাগাত] করা হয় তখন তা পবিত্র হয়ে যায়। [ইসলামিক ফা:- ৬৯৭, ইসলামিক সে.- ৭১২]

৬৯৯

ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

ইয়াহ্‌ইয়া ইবন ইয়াহ্‌ইয়ার হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [ইসলামিক ফা:- ৬৯৮, ইসলামিক সে.- ৭১৩]

৭০০

আবুল খায়র [রাহিমাহুল্লাহ] [মারসাদ ইবন আবদুল্লা আল ইয়াযানী] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেছেন, একদিন আমি ইবন ওয়ালাহ্‌ আস্‌ সাবায়ীর গায়ে একটা নরম পশমের তৈরী জামা দেখে তা স্পর্শ করে দেখলাম। তখন তিনি বলিলেন, কি ব্যাপার স্পর্শ করে দেখছো যে? [নাপাক মনে করেছো নাকি!] আমি আবদুল্লা ইবন আব্বাসকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। বলেছিলাম, আমরা মাগরিবে [মরক্কো] বাস করি। আমাদের সাথে বার্বার এবং অগ্নিপূযকরাও বাস করে। তাদের যাবাহ করে মেষের পোশাক আমাদের কাছে আসে। অথচ আমরা তাদের যাবাহ করা পশুর গোশ্‌ত খাই না। তারা আমাদের যন্য চর্বি ভর্তি মশকও নিয়ে আসে। এ কথা শুনে আবদুল্লা ইবন আব্বাস বলিলেন, আমরা এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, চামড়া পাকা করলে পবিত্র হয়ে যায়। [ইসলামিক ফা:- ৬৯৯, ইসলামিক সে.- ৭১৪]

৭০১

ইবন ওয়ালাহ্‌ আস্‌ সাবায়ী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত আছেঃ

তিনি বলেন, আমি আবদুল্লা ইবন আব্বাস [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, আমরা পশ্চিম দেশে থাকি। সেখানে আমাদের কাছে অগ্নিপূযকরা মশক নিয়ে আসে, সেটাতে পানি এবং চর্বি জাতীয় পদার্থ থাকে [আমরা সেগুলো ব্যবহার করব কি?]। তিনি বলিলেন, তা পান করে নাও। আমি বললাম, এটা কি আপনার নিজের অভিমত? ইবন আব্বাস [রাঃআঃ] বলিলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আঃ]-কে বলিতে শুনেছি যে, চামড়া পাকা [দাবাগাত] করলেই তা পবিত্র হয়ে যায়। [ইসলামিক ফা:- ৭০০, ইসলামিক সে.- ৭১৫]

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “সহীহ মুসলিম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ১ম খন্ড”

Your email address will not be published. Required fields are marked *